প্রায় দুইশ’ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে টিকে আছে কুলাউড়ার পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ি (নবাব বাড়ি)।
মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার পূর্বে এই জমিদার বাড়ির অবস্থান।
জমিদার বাড়ির কারুকার্যময় আসবাবপত্র, মসজিদের ফুলেল নকশা,
ইমামবাড়া, সুবিশাল দীঘি যে কাউকে
আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট। প্রায় ২৫ একর জমির ওপর অবস্থিত এই জমিদার বাড়ির সবচেয়ে
আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এখানকার ইমামবাড়া।
জমিদাররা শিয়া সম্প্রদায়ের হওয়ায় এখানে আশুরা আগে থেকে জাঁকজমকভাবে পালিত হয়ে আসছে।
জমিদারদের বর্তমান প্রজন্ম এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে
মহররম উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের করে আশুরা পালন করে।
পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির জমিদারদের ইতিহাস বেশ বর্ণাঢ্য।
জানা যায়, শ্রীহট্ট (সিলেট) সদরে মোহাম্মদ আলী নামে এক কাজি ছিলেন।
১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে নাগা ও কুকিদের বিদ্রোহে মোহাম্মদ আলী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে ইংরেজদের সাহায্য করেন।
ইংরেজ সরকার এতে খুশি হয়ে মোহাম্মদ আলীর ছেলে গৌছ আলী খাঁকে ১২০০ হাল বা ১৪ হাজার ৪০০ বিঘা নিষ্কর জমি দান করেন।
তবে বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে স্বনামধন্য এবং বড় জমিদার ছিলেন
আলী গৌছ খাঁর পৌত্র নবাব আলী আমজদ খাঁ।
তিনি সমাজসেবক ও পরোপকারী হিসেবে সমগ্র বাংলা এবং আসামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
তার সময় এই জমিদার বাড়িতে মহারাজা রাধা কিশোর মানিক্য বাহাদুরসহ বহু ইংরেজ ভ্রমণ করে গেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস