কালের সাক্ষী কুলাউড়ার পৃথিমপাশাজমিদার বাড়ি.
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে টইটম্বুর এক জনপদ সিলেট।
সিলেটের রয়েছে নৈসর্গিক প্রকৃতিক সৌন্দর্য,
রয়েছে বৃটিশ ও জমিদারী আমলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকীর্তি।
জমিদারী আমলের স্মৃতি বিজড়িত এরকম এক ঐতিহাসিক এবং অপূর্ব স্থাপনার নাম সিলেটের পৃথিমপাশাজমিদার বাড়ি।
প্রায় দুইশ' বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে টিকে আছে কুলাউড়ার পৃথিমপাশাজমিদার বাড়ি (নবাব বাড়ি)।
মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার পূর্বে এই জমিদার বাড়ির অবস্থান।
জমিদার বাড়ির কারুকার্যময় আসবাবপত্র, মসজিদের ফুলেল নকশা,
ইমামবাড়া, সুবিশাল দীঘি যে কাউকে আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট।
১৭০০ খ্রীষ্টাব্দে খান জাহান সাহেবের নেতৃত্তে ধর্ম প্রচারের জন্য ধর্মপ্রান লোক এই অঞ্চলে আসেন। বর্তমান জমিদার বাড়ীর দক্ষিন অংশে কুকি সম্প্রদায়ের বাজার ছিল।কুকিরা এদের দেখিয়া ধর্ম প্রচারকদের সাথে দন্ধে লিপ্ত হয়।৭ দিন যাবৎ লড়াইয়ের পর কুকিরা পরাজিত হয়ে বর্তমান ভারতের উত্তর ত্রিপুরা কৈলাশহরের দিকে চলে যায়।পরবর্তীতে ধর্ম প্রচারকগন তাবুতে বসতি স্থাপন করেন।দিল্লির সম্রাটের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের এখানে বসবাস করে ধর্ম প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং জায়গির দারী উপাধী দেওয়া হয়।পরবর্তী সময় সিপাহী বিদ্রহের আমলে একদল সৈন্য অত্র এলাকায় এসে গোপনে আশ্রয় নিয়েছিল।তখন আলী আহমদ খান সিলেটের ডিসি মহোদয়কে এখানে কিছু সৈন্য গোপনে আছে মর্মে খবর দেন।তখন ডিসি মহোদয় তিনিকে চিঠি মারফত জানান আমি সৈন্য পাঠাইতেছি আপনি লোকজন দিয়ে সহযোগিতা করবেন।পরে সৈন্য পাঠানোর পর উনি সহযোগিতা করেন এবং সিপাহী বিদ্রহী সৈন্যদের ধরিয়ে দেন।এজন্য ইংরেজ সরকার ২২ আইল ভূমি প্রদান করেন এবং জমিদার উপাধী দেন। উল্লেখ করা আবশ্যক মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষে আগমন উপলক্ষে আলী আমজদ খানকে বৃটিশ সরকার সিলেটের শিক্ষানুরাগী ও জমিদার হিসাবে আমন্ত্রন করেন।এব্যাপারে আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বার্ষিকী উপলক্ষে যে ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয় এখানে প্রথম পৃষ্ঠায় সিলেটের তৎকালীন বৃটিশ আমলের ডিসি মহোদয়ের আমন্ত্রন পত্র ছাপানো হয়।বর্তমানে হোছেনী দালান মসজিদ এবং বড় একটা দিঘী অবস্থিত।জমিদার বাড়ীতে হাতীর পিলখানা, বাঘ, হরীণ, ময়ূর ইত্যাদি ছিল।মুলত: তাহারা পারস্য (ইরান) দেশ থেকে প্রথমে দিল্লিতে এসেছিলেন সেখান থেকে পরবর্তীতে এই অঞ্চলে আগমন এবং তাহারা শিয়া ধর্মাবলম্বী।প্রতি বৎসর এখানে বড় ধরনের ধর্মীয় উৎসব ১০ই মহরম আসুরা পালন করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস